বগুড়ায় আদালত চত্বরে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা করে  মারপিটের পর তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করানো হয়। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়ার চীফ জুডিশিয়াল আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট্রের আদালতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়ার সাবেক দুইজন ডিসি, একজন ইউএনওসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ফেরার সময় এ হামলা চালানো হয় হিরো আলমের ওপর।

হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের উপ নির্বাচনে বগুড়া -৪ আসনে এবং ২০২৩ সালে উপনির্বাচনে বগুড়া সদরে প্রার্থী ছিলেন। সেসময় ভোট কেন্দ্রে তাকে মারপিটের অভিযোগে এনে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।

হাসপাতাল থেকে বলেন, “আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।”

হিরো আলম বলেন, “আগে মনে করে ছিলাম ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দেশ স্বাধীন হয়নি। কেউ যদি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গালি দেওয়ার কোনো ফুটেজ দেখাতে পারেন তাহলে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়াবো।”

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাজমুল হুদা বলেছেন, হিরো আলমের উপর হামলার সাথে বিএনপি বা এই দলের কোন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী জড়িত নয়। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, হিরো আলম আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

নাজমুল হুদা বলেন, “এর আগে হিরো আলম বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আওয়ামী লীগের সময় জাতীয় সংসদ সহ বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এসব কারনে বগুড়ার সাধারণ জনগন তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল।”